পথচলতি মানুষকে সতর্ক ও সচেতন করতে পথে নামলেন শেওড়াফুলি ফাঁড়ির পুলিশ

20th July 2020 2:03 pm হুগলী
পথচলতি মানুষকে সতর্ক ও সচেতন করতে পথে নামলেন শেওড়াফুলি ফাঁড়ির পুলিশ


নিজস্ব সংবাদদাতা ( বৈদ‍্যবাটী ) : করোনা সংক্রমণ রোধে মাস্ক পড়া বাধ‍্যতামূলক ঘোষনা করা হলেও বহু মানুষ এখন ও মাস্ক বিহীন অবস্থায় রাস্তায় বের হচ্ছেন । বারবার প্রশাসনের তরফ থেকে সচেতন করা হচ্ছে স্বাস্থ‍্য বিধি সম্পর্কে । নানা অজুহাতে মাস্ক ছাড়াই ঘুরছেন বিভিন্ন বয়সীরা । মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক কিন্তু মানছে না  বহু মানুষ  অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের । শ্রীরামপুর থানার পুলিশ চেকিং শুরু করে। শেওড়াফুলি ফাঁড়ির  বৈদ্যবাটী চৌমাথায়  পথচলতি মাস্ক না পড়া  সাধারন মানুষকে বিতরন করা হয় মাস্ক।  সাইকেল, বাইক,অটো, টোটো   গাড়ির চালদের মাস্ক পড়িয়ে দেয় পুলিশ। উপস্থিত ছিলেন পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিক সহ শেওড়াফুলি ফাঁড়ির ইনচার্জ । সাধারন মানুষ পুলিশের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।